- লোহাগাড়ায় হত্যাকাণ্ডে সাংবাদিক কে আসামি করায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার মনির খান লোহাগড়া নড়াইল।নড়াইল লোহাগড়ায় হত্যা মামলায় সাংবাদিক শাহজাহান সাজু কারাগারে। মিথ্যা মামলা পুনরায় প্রশাসনকে যাচাই করার দাবি করে বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান।
লোহাগড়ায়,গন্ডব গ্রামের দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় দৈনিক মানবজমিন-এর লোহাগড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও লোহাগড়া প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান সাজুর জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গত বুধবার শুনানি শেষে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ নীলুফার শিরিন এ আদেশ দেন। সাংবাদিক শাহজাহান সাজুর পক্ষের আইনজীবী উত্তম কুমার ঘোষ জামিনের শুনানি করেন। বিচারক শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
সাংবাদিক শাহজাহান সাজুর আইনজীবী উত্তম কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১০ই জুন লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গণ্ডব গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে চালিঘাট গ্রামের শেখ রফিকুল ইসলাম (৩৫) খুন হন। রফিকুলের পিতা বাদী হয়ে ৭৯ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাংবাদিক শাহজাহান সাজুকে ৬২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তিনি গত ১লা অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দেন।
সাংবাদিক শাহজাহান সাজুর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান শাহজাহান সাজু লোহাগড়া পৌরসভার বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে তার বাড়ি প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে। ওই গ্রামে তাদের কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। ঘটনার দিন সাজু তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করেছিল। গত ১০ই জুন সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম খুন হওয়ার পূর্বে সাংবাদিক শাহজাহান সাজু ওই রফিকুল ইসলামের নামে গত ২৫শে মার্চ দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকায় লোহাগড়ায় অস্ত্রসহ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রফিক আটক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে।
এর জের ধরে এবং কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়্যারম্যান মতিয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে আসামি করা হয়েছে। কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়্যারম্যান ও নিহত রফিক গ্রাম্যভাবে একই দল করেন। এ কারণে তাকে হয়রানি করতে গ্রাম্য কাইদায় নিহত রফিকের পিতাকে ম্যানেজ করে সাংবাদিক শাহজাহান সাজুর নামে চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মিলিত হয়ে এই মিথ্যা হত্যা মামলাটি সাংবাদিক শাহজাহান সাজুর নামে সুপরিকল্পিতভাবে করেছে।
যদি ঘটনার দিনের মোবাইল নেটওর্য়াক যাচাই করা হয় তাহলে প্রমাণিত হয়ে যাবে সাংবাদিক শাহাজাহান সাজু ঘটনার সময় কোথায় অবস্থান করছিল।প্রশাসনের কাছে এমন দাবি করেছেন সাজুর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।